মেঘালয় ভ্রমণ

মেঘালয় ভ্রমণ: মেঘপাহাড়ের ডাকে ডাউকি থেকে শিলং

অবিরাম বর্ষণের মধ্যে যাত্রা

ভ্রমণ রুট

ইমিগ্রেশন অফিসের অভিজ্ঞতা

ডাউকি ইমিগ্রেশন অফিস ও ডাউকি বাজার

ডাউকি বাজার
রাস্তার পাশে বাড়ী
ডাউকি বাজার

শিলং যাওয়ার প্রস্তুতি

ট্যাক্সি ভাড়া করা

ডাউকি ব্রিজ ও পথের দৃশ্য

ডাউকি ব্রিজ

মেঘালয়ের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি

ইতিহাস

মেঘালয়ের ইতিহাস প্রাচীন এবং রহস্যময়। প্রাকৃত ইতিহাসে খাসি, গারো এবং জয়ন্তিয়া উপজাতিদের বসবাস ছিল এখানে। খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ অব্দের পূর্বেই এই অঞ্চল গঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। মেঘালয় আগে আসাম রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল, কিন্তু ১৯৭২ সালে এটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

  1. খাসি ও জয়ন্তিয়া জনজাতি:
    • খাসি এবং জয়ন্তিয়া উপজাতিরা মূলত মাতৃতান্ত্রিক সমাজের অনুসারী। নারীরাই সমাজের প্রধান এবং সম্পত্তির উত্তরাধিকার।
    • এই অঞ্চলের মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই কৃষিকাজ, বাণিজ্য এবং সংস্কৃতি চর্চা করে আসছে।
  2. গারো জনজাতি:
    • গারো উপজাতিরাও মাতৃতান্ত্রিক সমাজে বিশ্বাসী। নারীরাই প্রধান এবং সমাজের নেতৃত্ব দেয়।
    • গারো পাহাড়ে তাদের বসবাস এবং কৃষিকাজ তাদের প্রধান জীবিকা।

সংস্কৃতি

মেঘালয়ের সংস্কৃতি অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় এবং সমৃদ্ধ। এখানকার মানুষের জীবনধারা, উৎসব, খাদ্যাভ্যাস এবং পোশাক সব কিছুতেই ঐতিহ্যের ছাপ স্পষ্ট।

  1. উৎসব:
    • নংক্রেম নৃত্য: খাসি উপজাতিদের সবচেয়ে বিখ্যাত উৎসব। এটি ফসল কাটার মৌসুমে উদযাপিত হয়।
    • বেহ দিনখলম: জয়ন্তিয়া উপজাতিদের অন্যতম প্রধান উৎসব। এটি রোগবালাই থেকে মুক্তির জন্য উদযাপিত হয়।
    • ওয়াংগালা: গারো উপজাতির প্রধান উৎসব। এটি নববর্ষ উপলক্ষে উদযাপিত হয়।
  2. নৃত্য ও সংগীত:
    • খাসি, গারো এবং জয়ন্তিয়া উপজাতিরা বিভিন্ন নৃত্য ও সংগীতের মাধ্যমে তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রকাশ করে। নংক্রেম, শাদ সুক মাইনসিয়েম, লাহো এবং ওয়াংগালা নৃত্য অন্যতম।
  3. হস্তশিল্প:
    • মেঘালয়ের হস্তশিল্পে বাঁশ এবং বেতের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র বিখ্যাত। ঝুড়ি, টুপি, এবং মাদুর প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
  4. খাদ্যাভ্যাস:
    • মেঘালয়ের মানুষের খাদ্যাভ্যাসেও বৈচিত্র্য দেখা যায়। এখানকার মানুষ ভাত, মাছ, মাংস এবং সবজির বিভিন্ন পদ খেতে পছন্দ করে।
    • খাসি উপজাতির খাবারগুলির মধ্যে জাদো (মাংস এবং ভাত), তুংরিমবাই (মাংসের থালা), এবং নাকাম বিখ্যাত।
    • গারো উপজাতির খাবারের মধ্যে পিকল্ড বাঁশের কঞ্চি, পাকা মাংস এবং মাছের বিভিন্ন পদ বিখ্যাত।

সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু ভ্রমণ নয়, এটি একটি শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা যা আপনাকে একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ভুবনে নিয়ে যাবে।

রাস্তার অভিজ্ঞতা

এখানকার রাস্তা বেশ সুন্দর, খুব বেশি পেঁচানো না এবং প্রসস্ত। এগোতে এগোতে আশেপাশে সব খাসি সম্প্রদায়ের বসবাস দেখতে পেলাম। চলতে চলতে মেঘালয়ের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি একটু জানার সুযোগও হল।

রাস্তার ধারে

ভিউপয়েন্টে ভ্রমণ

সানসেট ভিউ পয়েন্ট
শিলং সেন্টার পয়েন্ট

শিলং পৌছানো

মেঘালয় টুরিস্ট বাস বুকিং

উপসংহার

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *